পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে গত ৫ জানুয়ারি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও ফলাফল ঘোষণার পর সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সহিংসতার ঘটনায় পাংশা মডেল থানায় পৃথক ৪টি মামলায় নারী ও পুরুষসহ ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান।

জানা গেছে, পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষে ভোট গণনার পর সজীব হোসেনকে বেসরকারীভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ৫ জানুয়ারি রাতে বিজয়ী প্রার্থী সজিব হোসেনের সমর্থক ও নৌকার সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই বাহাদুরপুর ইউনিয়নে পুলিশ ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, নির্বাচনী সরমঞ্জাম ছিনতাই, গাড়িতে আগুন, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে একটি ও ৬ জানুয়ারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সফুরা খাতুন, মুস্তাফিজুর রহমান, ইমদাদুল হক বাপ্পী বাদী হয়ে পৃথক পৃথক আরও তিনটি মামলা করেছেন পাংশা মডেল থানায়।

এসব মামলায় বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির শাকিল, সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সজীব হোসেনসহ ১৫/১৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও পৃথক চারটি মামলায় অন্তত ৫০০ নারী পুরুষকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার নারী পুরুষদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পৃথক ৪টি মামলায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলী বলেন, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বাহাদুরপুর ইউনিয়নে শেষ সময়ে ভুল বোঝাবুঝিতে একটি অনাকাঙ্কিত ঘটনা ঘটেছে। এটার জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

মীর সামসুজ্জামান/আরআই