পঞ্চম ধাপে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদে ৪৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে ১৩ জন পেয়েছেন ৬ থেকে ৪৩ ভোট। এসব চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

জানা গেছে, ১০ ইউপির ১৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬- ৪৩টি ভোট পেয়েছেন। তাদের মধ্যে কসবামাজাইল ইউপিতে মোটরসাইকেল প্রতীকে সাইদ আহমেদ পেয়েছেন ১৬ ভোট এবং চশমা প্রতীকে জাকিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৬ ভোট।

কলিমহর ইউনিয়নে সাজ্জাদ হোসেন টেলিফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১ ভোট এবং চশমা প্রতীক নিয়ে বিপ্লব কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ২০ ভোট। সরিষা ইউনিয়নে আসাদুজ্জামান রতন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০ ভোট। পাট্টা ইউনিয়নে জেসমিন খান রজনীগন্ধা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ ভোট। মৌরাট ইউনিয়নে মোহাম্মদ আলী সরদার চশামা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ ভোট।

মাছপাড়া ইউনিয়নে কমলেশ চন্দ্র দাস চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ ভোট। যশাই ইউনিয়নে জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী মামুন গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২২ ভোট, খোন্দকার তোফাজ্জল হোসেন চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০ ভোট এবং ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম খান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ ভোট। 

বাহাদুরপুর ইউনিয়নে জাসদ মনোনীত প্রার্থী মুরাদ মশাল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩ ভোট এবং হাবাসপুর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে জাকারিয়া পেয়েছেন ১৪ ভোট।

কসবামাজাইল ইউনিয়নের ভোটার আজিজুল হক বলেন, আমাদের ইউনিয়নে চারজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার মধ্যে চশমা প্রতীক নিয়ে জাকিরুল ইসলাম নামে একজন পেয়েছেন মাত্র ৬ ভোট। আমার মনে হয় সে তার পরিবারের সদস্যদের ভোটও পাননি।

কসবামাজাইল ইউনিয়নে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে মাত্র ৬ ভোট পাওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বলেন, ভোট কত কি পেলাম সেটা বড় কথা নয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটাই বড় ব্যাপার। ইনশাআল্লাহ আগামীতে আরও ভালো করব।

পাংশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল আলীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার ও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অধিকার সব নাগরিকেরই সমান। যেসব চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মোট কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগও পাইনি নির্বাচনের বিধিমতে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। 

মীর সামসুজ্জামান/এসপি