২ বছরেও শুরু হয়নি রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটিপিসিআর) ল্যাবের কার্যক্রম। বর্তমানে কাগজে-কলমে, নামমাত্র সাইনবোর্ডে সীমাবদ্ধ আরটি-পিসিআর ল্যাব। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ না থাকা ও লোকবল নিয়োগ না হওয়ায় আজও আলোর মুখ দেখেনি আরটিপিসিআর ল্যাব। যার কারণে জেলায় করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল বরিশাল বিভাগের মধ্যে প্রথম পটুয়াখালীর দুমকীতে দুলাল নামের এক ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়। শুরু থেকেই পটুয়াখালীতে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব না থাকায় বরিশাল ও ঢাকা থেকে করোনার পরীক্ষা করতে হয়। সঠিক রিপোর্ট পেতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় প্রয়োজন হয়।

দ্রুত সময়ে কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সরকার পটুয়াখালীতে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। যা এখন শুধুই স্বপ্ন। ল্যাব চালু না হওয়ায় পটুয়াখালী ও বরগুনার লক্ষ লক্ষ মানুষ এর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে করোনা পরীক্ষা করাতে ভোগান্তি পোতে হচ্ছে রোগীদের। বর্তমানে পটুয়াখালীতে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট টেস্ট ও জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে করোনা শনাক্তকরণ কাজ চলছে।

পটুয়াখালীতে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব স্থাপিত হলে বরগুনার ১২ লক্ষাধিক মানুষসহ পটুয়াখালীর ১৮ লক্ষাধিক মানুষ এর সুবিধা পাবে। দীর্ঘ দিন পটুয়াখালীতে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বর্তমানে আবারও শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে চিন্তিত জেলাবাসী।

ফেসবুকভিত্তিক প্লাটফর্ম ‘পটুয়াখালীতে করোনা টেস্টের ল্যাব চাই’ এর অ্যাডমিন মুশফিকুর রহমান তুহিন বলেন, আমরা করোনার শুরু থেকে পটুয়াখালীতে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীতে করোনা টেস্টের ল্যাব দিয়েছেন। কিন্তু ২ বছরে শুধু কাগজে-কলমে, সাইনবোর্ডে সীমাবদ্ধ আরটি-পিসিআর ল্যাব। আমাদের দাবি দ্রুত ল্যাবটি চালু করা হোক।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাবের রুম প্রস্তুত রয়েছে। ল্যাব চালু করার জন্য মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ৮ জন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ৪ জন, অফিস সহায়ক ৪ জন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৪ জন প্রয়োজন। এছাড়া পরীক্ষার জন্য যন্ত্রাংশ প্রয়োজন। যা মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএসআর