নিজের একটি ঘর না থাকায় একমাত্র শিশুসন্তান নিয়ে ভাইয়ের জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করতেন সালেহা। বিষয়টি নজরে আসে ‘দ্য বার্ড সেফটি হাউসে’র চেয়ারম্যান সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাসের। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ফেসবুক বন্ধুদের সহযোগিতায় সালেহাকে গড়ে দিলেন রঙিন ঘর। এখন আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না অসহায় সালেহাকে।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে মেরামতকাজ শেষে সালেহার কাছে ঘরটি হস্তান্তর করেন মামুন বিশ্বাস। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের মধ্যমেটুয়ানী গ্রামে থাকেন সালেহা। সাত বছর আগে তালাকপ্রাপ্ত হয়ে মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে অসহায় হয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন তিনি।

এদিকে ঘরের পাশাপাশি শীতের কথা মাথায় রেখে সালেহাকে দেওয়া হয়েছে লেপ-তোশক, চৌকি, শীতের পোশাক। জীবিকার্জনের জন্য দেওয়া হয়েছে সেলাই মেশিন। সঙ্গে দিয়েছে খাদ্যসামগ্রী ও ৬ হাজার টাকা। তার সন্তান রাকিবের মাদরাসায় লেখাপড়ার জন্য আর জে রিফাত নামের একজনের মাধ্যমে মাসিক এক হাজার করে টাকারও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

অনুভূতি প্রকাশ করে সালেহা বলেন, আমি দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি। ভাইয়ের জরাজীর্ণ ঘরে থেকেছি। স্বপ্নেও কল্পনা করিনি যে কখনো নতুন রঙিন ঘর পাব, এত সুন্দর ঘরে থাকতে পারব। ঘর ও সেলাই মেশিনসহ সবকিছু পেয়ে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। যত দিন বেঁচে থাকব, আপনাদের সবার জন্য দোয়া করব।

দ্য বার্ড সেফটি হাউসের চেয়ারম্যান ও সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে জানান, অসহায় সালেহার খবর পেয়ে বিস্তারিত লিখে ফেসবুকে একটা পোস্ট দিই। ফেসবুকের বন্ধুদের কাছ থেকে সংগৃহীত ৭৮ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে খুব দ্রুত ঘর নির্মাণকাজ শেষ করে আজ তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি, তাহলে আমাদের সমাজে অবহেলিত কোনো মানুষ থাকবে না।

আমাদের সবাইকে সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসা দরকার জানিয়ে তিনি আরও জানান, আমি শুধু চেষ্টা করি ফেসবুক বন্ধুরা এগিয়ে আসেন বলেই প্রতিটি মানবিক কাজের জয় হয়।

শুভ কুমার ঘোষ/এনএ