লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফয়েজ উল্লাহ জিসান পাটওয়ারীসহ ৩১ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে সহিংসতা ও ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল রামগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক মো. আনোয়ার হোসেন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে রায়পুর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান-সদস্যরা শপথ নিলেও রামগঞ্জের ১০টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের গেজেট প্রকাশ হয়নি। ২৮ নভেম্বর নির্বাচনের দিন সহিংসতায় ইছাপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা সজিব হোসেন সজিব ও একই ঘটনায় আহত অবস্থায় ৮ ডিসেম্বর ঢামেকে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি আলমের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া লামচরসহ কয়েকটি ইউনিয়নে সহিংসতার ঘটনায় মামলা করা হয়। এসব কারণেই ওই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের গেজেট প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় উচ্চ আদালত আসামিদের চার সপ্তাহের জামিন দেন। মেয়াদ শেষ হলে মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলি আদালতে উপস্থিত হয়ে তারা পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এতে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনকালীন লামচর ইউনিয়নে সহিংসতা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে লামচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী মাহেনারা পারভীন পান্নার ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৬ জনের বিরুদ্দে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ জিসান পাটওয়ারীকেও আসামি করা হয়।

গত ২৮ নভেম্বরের ভোটে জিসান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে আসামিরা উচ্চ আদালতে আবেদন করে চার সপ্তাহের জামিন পান। মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। এতে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এনএ