ফেরি সংকট ও ঢাকামুখী যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন। যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পর ফেরির দেখা পেলেও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোর ফেরি পেতে সময় লাগছে ১৫-২০ ঘণ্টা। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রী ও চালকদের।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে গোয়ালন্দ মোড় ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে তিন শতাধিক যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অর্ধশতাধিক যাত্রীবাহী বাস। এ ছাড়া রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গোয়ালন্দ মোড় থেকে কল্যাণপুর পর্যন্ত নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। ফেরিঘাটের যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই মহাসড়কে গাড়িগুলোকে আটকে দিচ্ছে পুলিশ।

চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা দিগন্ত পরিবহনের যাত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, দুই ঘণ্টা ধরে মহাসড়কে আটকে আছি। শিশু বাচ্চা নিয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আরও কতক্ষণ থাকতে হবে কে জানে।

গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে থাকা ট্রাকচালক সুজা খাঁ বলেন, দুই-তিনদিন আগেও ফেরিঘাট স্বাভাবিক ছিল। গতকাল থেকে আবার চাপ বেড়েছে। আমি গতকাল দুপুরে এসে গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে আছি। কখন ফেরির নাগাল পাব বলতে পারছি না।

রাজবাড়ীর ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক তারক চন্দ্র পাল বলেন, গত দুদিন ধরে আবার সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস পারাপার করা হচ্ছে। বাস যাত্রীদের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতিদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফেরি সংকট ও ঢাকামুখী যানবাহনের চাপে হঠাৎ ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। বিকেলে একটি ফেরি বহরে যোগ হবার কথা রয়েছে। তবে রাতে কুয়াশায় ফেরি বন্ধ থাকলে চরম ভোগান্তি হবে।

মীর সামসুজ্জামান/আরআই