সাভারের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় উৎপাদন কম হওয়ায় শ্রমিককে মারধর ও সুতার কোন দিয়ে গোপনাঙ্গে আঘাত করে আহত করেছেন ফ্লোর ইনচার্জ। পরে তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সাভার থানা স্ট্যান্ড-সংলগ্ন পাকিজা নিট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতালে যাওয়ার আগেই ওই শ্রমিককে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।

আহত শ্রমিকের নাম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি কারখানার ছয়তলায় সুপারভাইজার পদে চাকরি করেন।

শ্রমিকরা জানান, সকালে ছয়তলায় সুপারভাইজার মোস্তাফিজুর কারখানায় এলে তার উৎপাদন কম হওয়ার কারণ জানতে চান ফ্লোর ইনচার্জ জুয়েল রানা। এ সময় দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে ফ্লোর ইনচার্জ জুয়েল সুপারভাইজার মোস্তাফিজুর রহমানকে সুতার কোন দিয়ে তার অণ্ডকোষে আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গেই মোস্তাফিজ ফ্লোরে পড়ে যান। পরে তাকে রোজ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তবে রোজ ক্লিনিকে যাওয়ার আগেই ওই শ্রমিককে সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাভার-আশুলিয়া-ধামরাই আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি শাহ-আলম বলেন, শ্রমিককে মারধর করার নিয়ম কোনো কারখানায় নেই। তবে কারখানায় মারধরের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই।

এ বিষয়ে কারখানার অ্যাডমিন ম্যানেজার মোস্তাকিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, কারখানায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ওই শ্রমিক গোপনাঙ্গে আঘাত পেয়েছে। তাকে আমরা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। পাশাপাশি অভিযুক্ত ফ্লোর ইনচার্জকে আমারা চাকরিচ্যুত করেছি। আমার প্রতিষ্ঠানে গায়ে হাত তোলার কোন নিয়ম নাই। যেই গায়ে হাত তুলবে তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান জিরো টলারেন্স।

মাহিদুল মাহিদ/এনএ