মৌলভীবাজারের রাজনগর সদর ইউনিয়নের সদস্যের বিরুদ্ধে পরাজিত সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের জন্মসনদে স্বাক্ষর না করার অভিযোগ উঠেছে। এতে নির্বাচনে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে বিপাকে পড়েছেন ওই ওয়ার্ডের কয়েকজন।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দত্তগ্রাম গ্রামের মো. শোয়েব মিয়া, মো. অলি খান, মাসুম আহমেদ জন্মনিবন্ধন করতে গত ১১ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদে যান। সেখানে জন্মনিবন্ধন সনদে চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করে দিলেও ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক চৌধুরী এতে স্বাক্ষর না দিয়ে পরে বুঝে স্বাক্ষর করবেন বলে জানান।

ভুক্তভোগীরা বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি সুরাহার জন্য দুই দফায় ওই ইউনিয়নের ৬ নং, ৭ নং, ৪ নং ও ৮ নং ওয়ার্ড সদস্যকে বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেন। তারা বিষয়টি নিয়ে এনামুল হক চৌধুরীর সঙ্গে কথা বললে তিনি স্বাক্ষর করতে তাদের কাছেও অপারগতা প্রকাশ করেন।

অন্য প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করায় তাদের প্রতিহিংসাবশত সরকারি সেবাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তারা। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তারা লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী মো. শোয়েব মিয়া বলেন, গত নির্বাচনে আমরা মুন্সি মো. আজিজের পক্ষে প্রচারণা করি। এনামুল হক চৌধুরী নির্বাচিত হওয়ার পর আমার বড় ভাই ও ভাতিজা-ভাতিজির জন্মনিবন্ধন করতে তার কাছে গেলে তিনি বুঝে স্বাক্ষর করবেন বলেন। পরে চেয়ারম্যানের মনোনীত চারজন সদস্য দুই দফায় তাকে স্বাক্ষর করতে বললেও তিনি স্বাক্ষর করবেন না বলে জানান। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অন্য কারও পক্ষে নির্বাচনে কাজ করায় আমরা কী অপরাধ করেছি জানি না।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য এনামুল হক চৌধুরী বলেন, যারা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, আমি তাদের বলেছি যাচাই-বাছাই করে স্বাক্ষর দেব। আমি এলাকার কয়েকজনকে দিয়ে তাদের আসতে বলেছি। আমি স্বাক্ষর দেব না, এ কথা বলিনি। তারা এলে আমি স্বাক্ষর দিয়ে দেব।

রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াংকা পাল বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। কোনো জনপ্রতিনিধির এমন আচরণ করা ঠিক নয়। আমি বিষয়টি দেখছি।

ওমর ফারুক নাঈম/এনএ