বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ড. এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কঠিন প্রশিক্ষণ যুদ্ধকে সহজ করে তোলে। সেই লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি বিশ্বমানের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। 

তিনি বলেন, দেশের অঙ্গন ছেড়ে বিদেশেও সেনাবাহিনী অনেক গুরুদায়িত্ব পালন করে, বিশেষ করে শান্তিরক্ষা মিশনে। সেই সমস্ত জায়গায় চ্যালেঞ্জিং দায়িত্বগুলো পালন করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। 

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার চেচুয়া বাজার এলাকায় চূড়ান্ত আক্রমণ অনুশীলনের মধ্য দিয়ে চার সপ্তাহব্যাপী সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

সেনাপ্রধান বলেন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লজিষ্টিকস ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ পরিচালনা করেছে। ভবিষ্যতে এই প্রশিক্ষণ আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সাম্প্রতিককালে আহরিত অস্ত্র ও সরঞ্জাম এবারের অনুশীলনে ব্যবহৃত হয় এবং সেনাবাহিনীর লজিষ্টিক স্থাপনাসমূহ প্রথমবারের মতো বহিরাঙ্গনে মোতায়েন হয়। সব মিলিয়ে সেনাবাহিনীর এবারের শীতকালীন প্রশিক্ষণ ছিল অনেক অভিনব ও বাস্তবধর্মী। সেনাবাহিনীর সব সদস্য ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে এই শীতকালীন অনুশীলনে অংশগ্রহণ করে। 

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ জয় করতে হলে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছাড়া তা কোনোভাবে সম্ভব নয়। সেই লক্ষ্যে সেনাবাহিনী সাধারণ জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এক লাখ শীতার্ত মানুষকে কম্বল দেওয়া হয়েছে। তা বিতরণ অব্যাহত থাকবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাধারণ মানুষের শক্তি সমর্থন নিয়ে সেনাবাহিনী কাজ করে যাবে। 

পরে সমাপনীতে সেনাসদস্যদের পাশে থেকে অনুশীলন পর্যবেক্ষণ করেন। সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে জামালপুর জেলার হিরনকান্দা গ্রামে অসহায় মানুষের মাঝে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প এবং শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন সেনা প্রধান।

উবায়দুল হক/আরআই