নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের মিছিল-পথসভায় বিএনপির পাশাপাশি জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে বন্দরে হাজারো মানুষ নিয়ে পথসভা করেন তিনি।  

এর আগে সকালে অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি ও পুরোনো মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমনকি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোরও গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর বেলা ১১টায় মাসদাইরে নিজ বাসভবনে পোলিং এজেন্টের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। 

পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যতো ভয়ভীতি দেখানো বা চাপ দেওয়া হোক না কেন, পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

পরে বিকেলে বন্দরের সিরাজ উদ্দৌলা মাঠে পথসভায় অংশ নেন তৈমূর আলম খন্দকার। সেখানে মিছিল নিয়ে আসেন জাতীয় পার্টির নেতা ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল। মিছিলে হাজারখানেক বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী অংশ নেন। এরপর বন্দর এলাকার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন তিনি। 

তৈমূর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, ১৮ বছরের চাপা ক্ষোভ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে ভোটাররা হাতি মার্কায় ভোট দেবেন। 

ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভাগ্যের পরিবর্তন চাইলে সব ভয়-ডর দূরে সরিয়ে হাতি মার্কায় ভোট দিতে স্মার্টকার্ড নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। 

রাজু আহমেদ/আরএআর