চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বড়শশী ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রহিম। শপথ নেওয়ার আগেই ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুই কিলোমিটার অংশে স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি ভরাট করায় প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। 

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বগদুলঝুলা থেকে পূর্বদিকে ভাউলাগঞ্জমুখী দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়ক সংস্কার করেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম। এ সময় তাদের সঙ্গে অংশ নেন নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যরাও।

২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আব্দুর রহিম। তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। শপথ গ্রহণের আগেই তিনি নিজ উদ্যোগে ইউপি সদস্যদের নিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি ভরাট করেছেন। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের এমন উদ্যোগে আনন্দিত ইউনিয়নবাসীও। 

স্থানীয়রা জানান, বড়শশী ইউনিয়নের বগদুলঝুলা থেকে পূর্বদিকে ভাউলাগঞ্জমুখী দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি দায়িত্বশীলরা। নতুন চেয়ারম্যানের এই উদ্যোগে ভোগান্তি দূর হবে পথচারীদের।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সঙ্গে স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়া শাখাওয়াত হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে ওই সড়কটির বেহাল দশা ছিল। কিন্তু কেউ সড়কটি সংস্কার কিংবা মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এগিয়ে আসেনি। তবে এসব সড়ক সংস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি অনেক বরাদ্দ আসলেও তা এই সড়কের ভাগ্যে জোটে না। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নিজ উদ্যোগ সড়কটিতে মাটি ভরাটের কাজ করছেন। এটি সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যােগ।

বড়শশী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুল ওয়াহাব বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব নিজ উদ্যােগে সড়ক সংস্কারে কাজে নেমে পড়েছেন। তাই আমরাও আর বসে না থেকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সড়ক সংস্কারের কাজে নেমে পড়েছি। আমরা চাই বড়শশী ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে গড়তে।

বড়শশী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, আমার ইউনিয়নের সব মানুষ ভালোবেসে তাদের সেবা করার জন্য আগামী পাঁচ বছরের জন্য আমাকে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। আর একজন জনপ্রতিনিধির কাজই হলো জনকল্যাণমূলক কাজ করা। এজন্য বরাদ্দ পাওয়ার অপেক্ষায় না থেকে নিজ উদ্যোগে কাজটি করেছি। 

রনি মিয়াজী/এসপি