রুপা রায় চৌধুরী। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংসদ নির্বাচন, সব নির্বাচনেই তিনি প্রার্থী হন। প্রত্যেকবারই জামানত হারিয়েছেন। এবারও তিনি টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী হয়ে ডাব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৪৩৮টি ভোট পেয়েছেন, যা অতীতের রেকর্ড ভেঙেছে। বারবার তার নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেশায় পরিণত হয়েছে বলে মত অনেকের। গেল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৩৭২ ভোট পেয়েছিলেন রুপা।

তার বাড়ি উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামে। অষ্টম শ্রেণি পাস এ প্রার্থী তিন সন্তানের জননী। স্বামী চন্দন রায় পেশায় কৃষক। আর্থিক সচ্ছলতা না থাকলেও রুপা রায় ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এর আগে ২০১৬ সালে ভাতগ্রাম ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তখন যাচাই-বাছাইয়ে বয়স কম থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু দুই নির্বাচনেই তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের উপ-নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়। পরে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের খান আহমেদ শুভ পেয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির জহিরুল হক জহির পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৭৩ ভোট। পাঁচ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ম স্থান অধিকার করে রুপা রায় চৌধুরী পেয়েছেন ৪৩৮ ভোট।

নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে রুপা রায়ের নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

এসএসএইচ