নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে টানা তৃতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন রাজবাড়ীর পুত্রবধূ ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার বিজয়ের খবর শুনেই রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাতে রাজবাড়ীতে তার শাশুড়িকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টিমুখ করিয়েছেন সুধীজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

জানা গেছে, সেলিনা হায়াৎ আইভী রাজবাড়ী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সজ্জনকান্দা এলাকার নিউজিল্যান্ড-প্রবাসী কম্পিউটার প্রকৌশলী কাজী আহসান হায়াতের স্ত্রী।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে সেলিনা হায়াৎ আইভী আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে ১৯২টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। তাদের ভোটের পার্থক্য ৬৯ হাজার ১০২। ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র হতে চলেছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।

এর আগে পরপর দুবার নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১১ সালে তিনি দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানকে পরাজিত করেন। পরের বার ২০১৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। পরাজিত করেন বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনকে।

সেলিনা হায়াৎ আইভী ১৯৬৬ সালের ৬ জুন নারায়ণগঞ্জের একটি রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর আইভী রাজবাড়ী পৌরসভার বাসিন্দা প্রকৌশলী কাজী আহসান হায়াতের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আইভী-আহসান দম্পতির কাজী সাদমান হায়াৎ সীমান্ত ও কাজী সারদিল হায়াৎ অনন্ত নামে দুই ছেলেসন্তান রয়েছে।

আইভীর বাবাও নারায়ণগঞ্জে এক পরিচিত নাম। তার বাবা আলী আহাম্মদ চুনকা ও মা মমতাজ বেগম। পরিবারের পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে আইভী জ্যেষ্ঠ। আলী আহম্মদ বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আইভী বাবার রাজনৈতিক পরিচিতিকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গন ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে সরব হন এবং ১৯৯৩ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ও পরবর্তীতে তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র নির্বাচিত হন। এবারও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

মীর সামসুজ্জামান/এনএ