২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায়। বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে জেলার বিভিন্ন জনপদ। ঝড়ের প্রভাবে সড়কে বড় বড় গাছ উপড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ-ব্যবস্থা। এরপর থেকেই ১৯ মাস ধরে পাটকেলঘাটা-তালা সড়কের কুমিরা বাজারমোড় এলাকায় সড়কের অর্ধেকাংশজুড়ে একটি বৃহৎ গাছের গুঁড়ি পড়ে রয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে সড়ক থেকে সরছে সেই গাছের গুঁড়িটি।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে গাছের গুঁড়িটি অপসারণে কাজ শুরু করেছে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। সার্ভেয়ার মো. হাসানুজ্জামানের নির্দেশনায় গাছটি অপসারণ করছেন কাঠ ব্যবসায়ী স্বপন বিশ্বাস। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন জেলা পরিষদের কেয়ারটেকার হেলালউদ্দীন।

কাঠ ব্যবসায়ী স্বপন বিশ্বাস জানান, জেলা পরিষদের সার্ভেয়ারের নির্দেশে সড়ক থেকে গাছটি অপসারণ করা হচ্ছে। গাছটি অপসারণের পর তারা যেখানে নিয়ে যেতে বলবেন সেখানে নেওয়া হবে।

দীর্ঘ ১৯ মাস গাছটি অপসারণ করা হয়নি কেন? এ প্রশ্নে জেলা পরিষদের কেয়ারটেকার হেলালউদ্দীন বলেন, গাছটি অপসারণ করতে জেলা পরিষদ থেকে নিষেধ করা হয়েছিল সে কারণে অপসারণ করা হয়নি।

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের মো. সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান বলেন, গাছটি এতদিন সড়কের ওপর পড়ে রয়েছে সেটি জানা ছিল না। আমি জানতাম গাছটি অপসারণ করা হয়ে গেছে। তবে সংবাদমাধ্যমে জানার পর গিয়ে দেখলাম গাছটি সড়কে পড়ে রয়েছে। গাছটির অপসারণ কাজ চলছে। সড়ক থেকে অপসারণ করে সড়কের পাশেই রাখা হবে গুঁড়িটি।

দীর্ঘ দিনের এই দুর্ভোগের নিরব প্রতিবাদ হিসেবে স্থানীয়রা গাছের পাশে একটি প্লেকার্ড বসিয়ে দেন। সেখানে লেখেন, ‘যেহেতু গাছটি সরানো খুব কঠিন তাই রাস্তা ঘুরিয়ে দিন, জনদুর্ভোগ দূর করুন’। জনস্বার্থে, সড়ক ব্যবহারকারী জনগণ। এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের পর শুরু হয় সমালোচনা। মূলত তারপরই এটি সড়ক থেকে অপসারণের উদ্যোগ নেয় জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ।

আকরামুল ইসলাম/এমএসআর