মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সামেদ আলী ও হাসান আলীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দু’গ্রুপ টেঁটা-বল্লম হাতে মুখোমুখি অবস্থান নেন। তবে এ সময় পুলিশের উপস্থিতির কারণে কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে সোমবার রাত ১০টার দিকে এক পক্ষের সঙ্গে টেঁটাযুদ্ধে সাতজন আহত হয়েছেন। সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের আকবরনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

টেঁটাবিদ্ধ দুজনকে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন সামেদ আলীর সমর্থক সাইদুল ইসলাম (২৮) ও হাসান আলীর সমর্থক আফজাল হোসেন (৩০)। অপর আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আকবরনগর গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আকবরনগর গ্রামে প্রায়সময়ই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ চলে। সোমবার রাত ১০টার দিকে আকবরনগর ট্রলারঘাটে স্থানীয় সামেদ আলী ও হাসান আলী সর্মথকদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে দুইপক্ষের লোকজন টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুপক্ষের চার থেকে পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে উভয়পক্ষে দুজন টেঁটাবিদ্ধসহ কমপক্ষে সাতজন আহত হন। খবর পেয়ে সিরাজদিখান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আজগর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার দুই গ্রুপ সিরাজদিখান ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা সংযোগস্থলে সংঘর্ষের প্রস্তুতি সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া দিলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ সময় সংঘর্ষে কেউ আহত হয়েছেন কি না, আমার জানা নেই।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, সোমবার রাতে ফতুল্লা ও সিরাজদিখান থানার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরপরই দুই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দুজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা কিংবা লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

ব ম শামীম/এমএসআর