সিরাজগঞ্জে তৃতীয় দিনেও জজ কোর্ট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজিরা দেওয়া ও ফৌজদারি কর্মকাণ্ড বন্ধ ছিল। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন বিচারপ্রাথীরা।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে কর্মবিরতি রেখে বার কাউন্সিলের হল রুমে অবস্থান করেছেন আইনজীবীরা।

তাড়াশ উপজেলা থেকে আসা বিচার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সমন জারি হয়েছে। দুই দিন হলো কোর্টে ঘোরাঘুরি করেও কোনো সমাধান পাচ্ছি না।

কাজীপুর উপজেলা থেকে আসা আসাদুল্লাহ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রতিদিন কোর্টে ঘুরে বিকেলে বাড়িতে যাই। কোনো সমাধান পাচ্ছি না। কোর্ট বন্ধ থাকার কারণে চরম বিপাকে পড়েছি।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ পান্না জানান, আজ দুপুরে জরুরি মিটিং ডাকা হয়েছিল। আমরা আরও কঠিন অবস্থানে যাব। সুষ্ঠু বিচার না পেলে আইনজীবীদের কোর্ট বর্জন অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, রোববার রাতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার ইউসুফ আলী বাদী হয়ে ১১ জন আইনজীবীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ জন্য আমরা আরও কঠিন সিদ্ধান্তে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার ইউসুফ আলীর মুঠোফোনে বার বার কল দিলেও সাড়া মেলেনি। 

প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার ইউসুফ আলীর সঙ্গে অ্যাডভোকেট আবুল কালামের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরদিন রোববার সকালে কোর্ট ও বিভিন্ন অফিস কক্ষসহ সব এজলাসে তালা দেয় ইউসুফ আলীর লোকজন। এরই প্রতিবাদে জেলা আইনজীবী সমিতির সব সদস্য কোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করে আদালত বর্জন করেন।

শুভ কুমার ঘোষ/আরআই