নন্দিত কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদকে জড়িয়ে নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের পৈত্রিক নিবাস কুতুবপুর গ্রামবাসী। 

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের কুতুবপুর রওজাতুল উলুম মাদরাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তারা এ দাবি জানান। সমাবেশে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হারিছ মিয়া। 

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হেলিম, আলী আহমেদ বুলবুল, আলী হোসেন, আজিজুল হক বাচ্চু ও এনামুল হক জুয়েল।
 
ইউপি সদস্য মো. হারিছ মিয়া বলেন, গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি এবং একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। এতে আমি বিজয়ী হই। আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী পরাজয় মেনে নিতে না পেরে ওই দিন রাতেই তারা নিজেরা তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। পরে তারা এলাকায় প্রচার করে যে, শফিকুল ইসলাম হুমায়ূন আহমেদের চাচাত ভাই এবং আমার লোকজন তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে থানায় একটি মামলা করে তারা। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। 

আরও পড়ুন : হুমায়ূন আহমেদ : গল্প, গদ্য ও জনপ্রিয়তা 

তিনি আরও বলেন, শুধু ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেই তারা শান্ত হয়নি। আমার লোকজন ওই দ্রুত বিচার মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে এলাকায় আসার আগেই তারা থানায় হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
 
এ বিষয়ে কথা হলে শফিকুল ইসলাম বলেন, হুমায়ূন আহমেদের দাদা এবং আমার দাদা দুই ভাই। আর আমাদের যে ঘরগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে- তার মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ গ্রামে এলে যে ঘরে থাকতেন এবং ঘুমাতেন সে ঘরটিও রয়েছে। মামলা দায়ের করেছি বলে হারিছ মিয়া ও তার লোকজন এখন আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।
 
এ নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও কেন্দুয়া থানার তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন তালুকদার বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আশা করি প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে অবিলম্বে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) করতে পারব।                  

মো. জিয়াউর রহমান/আরআই