দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাওয়ায় ছেলের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নগরীর দামকুড়া থানার পাটনিপাড়া এলাকা থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ছেলে স্বপনকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, গলা কেটে বাবাকে হত্যার পর মরদেহ বাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন স্বপন। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে এই কাণ্ড ঘটান স্বপন। পরদিন থানায় নিয়ে বাবা নিখোঁজ জানিয়ে পুলিশের সহায়তা চান তিনি। সন্দেহ থেকে পলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে আসল সত্য।

নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, ঘুমন্ত বাবাকে প্রথমে মুখে প্লাস্টিক দিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা চালান স্বপন। ব্যর্থ হয়ে পরে চাকু দিয়ে বাবার গলা কাটেন। পরে মরদেহ বাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন।

তিনি আরও জানান, পরদিন স্বপ্ন নিজেই থানায় যান। বাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে পুলিশকে জানান। ওই সময় তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা পায় পুলিশ। জেরার মুখে বাবাকে হত্যার পর মরদেহ গুম করার চেষ্টার কথা স্বীকার করেন স্বপন। পরে ওই রাতেই পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বপন স্বীকার করেছেন, বছরখানেক আগে তার মা মারা যান। এরপর থেকেই বাবা দ্বিতীয় বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লাগেন। সম্পত্তি বেহাত হবার শঙ্কায় বাবার দ্বিতীয় বিয়েতে আপত্তি জানান স্বপন।

এনিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। এরই জেরে বাবাকে হত্যা করেন ছেলে। এই ঘটনায় ছেলের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান নগর পুলিশের মুখপাত্র। 

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসআর