ফরিদপুরে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার আয়োজন করা হয়। পরে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও যুব মজলিস ফরিদপুর জেলা শাখা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ সময় বক্তারা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছিলেন। পরে পুলিশ এসে তা বন্ধ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দলের মহাসচিব মামুনুল হক, যুগ্ম সচিব জালালউদ্দিন আহমেদ, আতাউল্লা আমিন এবং কোরবান আলীসহ গ্রেফতার আলেমদের মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচি পালনকালে প্রথম বক্তব্য দেন খেলাফতের ফরিদপুর জেলার সদস্য আসাদ হোসেন। তার বক্তব্য দেওয়ার পর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শরাফত হোসাইনের। কিন্তু আসাদ হোসেনের বক্তব্য চলাকালে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নেয়। পরে সমবেত ব্যক্তিদের ওই জায়গা থেকে হটিয়ে দেয়।

কর্মসূচি পণ্ড হওয়ার আগে বক্তারা মামুনুল হকসহ গ্রেফতার সব আলেমের মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মুক্তি দেওয়া না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এ ব্যাপারে খেলাফত মজলিসের ফরিদপুর জেলা শাখার মুখপত্র মাওলানা আবু নাসির বলেন, আজকের মানববন্ধন আমাদের কেন্দ্র ঘোষিত ছিল। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ফরিদপুর শাখা এর আয়োজন করেছিল। কিন্তু ফরিদপুরে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, দেশব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এই সময়ে একটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। এ জন্য পুলিশ তাদের এসব বুঝিয়ে মানববন্ধন শেষ করতে বলে।

জহির হোসেন/এনএ