খুলনা বিভাগে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এক দিনের ব্যবধানে ফের বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ২ হাজার ৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬৮৮ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। 

এর আগে গতকাল রোববার (২৩ জানুয়ারি) ৪৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মৃত্যু হয় একজনের। 

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মাগুরায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে খুলনা বিভাগে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৬৮৮ জন। এর মধ্যে আক্রান্তে শীর্ষে রয়েছে যশোর। এই জেলায় সর্বোচ্চ ১৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর খুলনায় ১৫২ জন ও কুষ্টিয়ায় ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া ঝিনাইদহে ৯৮ জন, সাতক্ষীরায় ২৬, বাগেরহাটে ২৫, মাগুরায় ২৪, নড়াইলে ১৭, মেহেরপুরে ১১ ও চুয়াডাঙ্গায় ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের ওই প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, খুলনা বিভাগে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৪৫১ জন। আর মোট মারা গেছেন ৩ হাজার ২০২ জন।

শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। এখানে ২৮ হাজার ৮৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের সংখ্যায় সবচেয়ে কম মাগুরা। এখানে ৪ হাজার ২৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। 

এছাড়া করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে খুলনায়। এই জেলায় মারা গেছেন ৮১০ জন। আর মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে কম সাতক্ষীরা। এই জেলায় ৮৮ জন মারা গেছেন। 

খুলনা ২০০ শয্যা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ২২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে ছয়জন, রেডজোনে ছয়জন এবং ইয়েলো জোনে ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, রোববার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮২ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ০৮ শতাংশ।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, জানুয়ারির শুরু থেকেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে করোনা সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। এর মধ্য যশোরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। খুলনায় এখনও ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া রোগী পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, মাস্ক না পরা, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলার কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ জন্য মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। তাহলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। 

মোহাম্মদ মিলন/আরএআর