ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। 

গতকাল রোববার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের আলামিন বাজার এলাকায় ২ দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু দুই গ্রুপের লোকজন থানায় অভিযোগ করতে এসে থানার গেটের সামনে তৃতীয় দফায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে পুলিশ ৪ জনকে আটক করে। 

স্থানীয়রা জানায়, সদ্য ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সদস্য পদে জয়ী প্রার্থী নুরুল আমিন মোড়ল ও তার লোকজন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সামাদ মেম্বারের লোকজনকে হেয় করে অনবরত ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আসছে। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে উত্তেজনা দেখা দেয়। 

রোববার সন্ধ্যায় নুরুল আমিন মেম্বার আলোর দিশারী ক্লাবের সামনে তার লোকজন নিয়ে সামাদ মেম্বার গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এসময় স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে ২ গ্রুপ ওই স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনার ১৫ মিনিট পর নুরুল আমিন মেম্বার পুনরায় তার লোকজন নিয়ে আলামিন বাজারে উপস্থিত হয়ে ফের সামাদ মেম্বারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।

এতে আজিবর শেখের (৪২) এর মাথা ফেটে যায়। এছাড়াও তানিয়া (৩৮), মাসুদসহ (৩৫) বেশ কয়েকজন অহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথে তারা বাধার মুখে পড়েন। এরপর তারা দোহার উপজেলায় গিয়ে চিকিৎসা নেয়। 

পরে নুরুল আমিন মেম্বারের লোকজন আক্রোশ থেকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বৈরি সাক্ষী আবুল হোসেনের ছেলে রফিকের মোটরসাইকেলটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। 

এ‌ ঘটনায় নুরুল আমিন মেম্বার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সামাদ মেম্বারের লোকজনই তাকেসহ তার লোকজনকে মারধর করেছে। তিনি দাবি করেন তার পক্ষের কামাল, আতিক ইসলাম, আরমান, বাবু, রবিনসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়। 

এরপর রাত সাড়ে আটটার দিকে ২ গ্রুপ থানায় অভিযোগ দিতে এসে থানার গেটে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে পুলিশ নুরুল আমিন মেম্বার গ্রুপের ৩ জন ও সামাদ মেম্বার গ্রুপের ১ জনকে আটক করে। 

শ্রীনগর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ৪ জনকে আটক করা করেছে। ২ পক্ষেরই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব.ম শামীম/এমএএস