সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে রাজশাহী। এরই মধ্যে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বেরিয়ে সর্বনাশ হয়েছে জেলার পুঠিয়া উপজেলার কান্দ্রা এলাকার এক কিশোরীর।

খলিলুর রহমান (৭০) নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করার হামলার শিকার হয়েছে ভুক্তভোগীর বাবা-চাচাসহ পরিবারের অন্তত ১০ সদস্য।

অভিযুক্ত খলিলুর রহমান কান্দ্রা গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় বিকেলে পুঠিয়া থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। এই মামলায় খলিলুর রহমানসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

পুঠিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বদিউজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরী ও অভিযুক্ত খলিলুর রহমান গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সকালে সাড়ে ৬টার দিকে ওই কিশোরী ঘর থেকে বেরিয়েছিল। ওই সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারপাশ। সুযোগ বুঝে ওই বৃদ্ধ কিশোরীকে গুচ্ছগ্রামের আরেকটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তুলে নিয়ে যান। সেখানে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিনি। কিশোরীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে পালিয়ে যান অভিযুক্ত খলিলুর রহমান।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা বৃদ্ধের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। ওই সময় তাদের ওপর হামলা চালান বৃদ্ধের স্বজনরা। এতে ওই কিশোরীর বাবা ও চাচাসহ পরিবারের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুঠিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে হামলায় আহত হয়েছেন ওই কিশোরীর বাবা ও চাচাসহ আরও কয়েকজন।

এ ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। এতে ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া আরও দুজনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে ততক্ষণে আসামিরা পালিয়ে যান। 

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর