শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকের পর সিলেটে আনা হয়েছে। তাদের মহানগরীর জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (উত্তর) ডেপুটি কমিশনার আজবাহার আলী শেখ  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আটকদের মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় সিলেটে আনা হয়েছে। তাদেরকে জালালাবাদ থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে। পরে তাদের সিলেট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আটকরা হলেন- টাঙ্গাইলের সখীপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়ার শিবগঞ্জ থানাধীন লক্ষ্মীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনার সোনাডাঙ্গার মিজানুর রহমানের ছেলে এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকার মিরপুরের মাজার রোডের জব্বার হাউসিং বি-ব্লকের ১৭/৩ বাসার এ কে এম মোশাররফের ছেলে এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) এবং কুমিল্লার মুরাদনগর থানাধীন নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)।

আটকদের পরিবার ও বন্ধুদের অভিযোগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে অর্থ সহায়তা করায় তাদের আটক করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে তাদের আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বলেন, আমাদের নির্ভেজাল, নিরেট ও অসহিংস আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানাবিধ চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের সাবেক কয়েকজন ভাই, যারা আমাদের আন্দোলনে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন তাদের আটক করে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা এ সব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এই আন্দোলন পরিচালনায় অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন অনেক সাবেক সাস্টিয়ান। যার পরিপূর্ণ প্রতিবেদন ও হিসাব আমরা প্রকাশ করছি। কারা সহায়তা দিচ্ছেন, কীভাবে ব্যয় হচ্ছে, আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশিত হচ্ছে। এখানে ধামাচাপা দেওয়ার কিছু নাই। সুতরাং যারা আমাদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন তাদের অযথা হয়রানি না করে মুক্তি দিন।

জুবায়েদুল হক রবিন/আরএআর