দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে এমডিসহ ৬৭ জন কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসির এক্সএমসির ৩৬ জন চিনা কর্মকর্তা ও বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) এমডিসহ ৩১ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপসর্গ থাকায় খনিতে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সংকট দেখা দিতে পারে। বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী ওয়াজেদ আলী বলেন, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জ্বালানির একমাত্র উৎস বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি। 

তিনি বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু না হলে জ্বালানি সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এই কয়লা শেষ হওয়ার আগে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান করোনায় আক্রান্তের ঘটনা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে বলেন, খনিতে ২৯৩ জন চিনা নাগরিকের মধ্যে ১৮৪ জনের করোনা পরীক্ষা করে ৩৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। একইভাবে বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) এর ৭২ জন কর্মকর্তার করোনা পরীক্ষা করে তিনিসহ (এমডি) ৩১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এছাড়া করোনার উপসর্গ রয়েছে খনির অর্ধশত কর্মকর্তার শরীরে। তাই সাময়িকভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইমরান আলী সোহাগ/এসপি