সিনহা হত্যা : স্বজনদের দাবি আসামিরা নির্দোষ
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা ঘিরে আদালতে উপস্থিত রয়েছেন আসামিদের স্বজনরা। তারা রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, আসামিরা নির্দোষ।
আসামি কনস্টেবল রুবেল শর্মার ভাই গণমাধ্যমকে দোষারোপ করে বলেন, সিনহা হত্যা মামলাকে মিডিয়া ট্রায়াল করেছে গণমাধ্যমকর্মীরা। তারা সব আসামিকে ঢালাওভাবে দোষী বানিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে। মূলত ওসি প্রদীপের কারণে তাদেরও ফাঁসানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরেক আসামি পুলিশ কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুনের বাবা আবুল হোসেন জানান, তার ছেলে কোনোভাবে সিনহা হত্যায় জড়িত নয়। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য হিসেবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর ওই বছরের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে দ্বিতীয় আসামি করে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।
বিজ্ঞাপন
৪ মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্তের পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
২০২১ সালের ২৭ জুন ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। এ মামলায় মোট ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
সাইদুল ফরহাদ/এসপি