ভারতের পেট্রাপোলে চারটি সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের কারণে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে পেট্রাপোল এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দে এ তথ্য জানিয়েছেন।  

আমদানি-রফতানি কাজে বন্দরের অভ্যন্তরে প্রবেশসহ হয়রানি বন্ধ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পেট্রাপোলের চারটি ব্যবসায়ী সংগঠন। এ প্রেক্ষিতে সোমবার থেকে পেট্রাপোলের চারটি সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। একই দাবিতে গত সপ্তাহে দুদিন চার ঘণ্টা করে বাংলাদেশে পণ্য রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছিল।

বনগা গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খোকন পাল বলেন,  বিএসএফের পেট্রাপোল আইসিপিতে ঢুকতে পরিবহন শ্রমিকদের বাধা দেওয়া হয়। পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের আইসিপিতে ঢুকতে দেওয়ার দাবিতে সোমবার সকাল থেকে অনিদির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে  আমদানি-রফতানি।

পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আগে যেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৭০০-৭৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকতো, করোনার কারণে সেটি ৩০০টিতে ঠেকেছে। এরপর নতুন ল্যান্ডপোর্ট ম্যানেজার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো কথা না বলে বন্দর এলাকায় প্রবেশের উপর নতুন আইন জারি করে আমাদের বাণিজ্যে ব্যঘাত ঘটাচ্ছেন।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক(ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, আমদানি-রফতানি বন্ধ বা পেট্রাপোল বন্দরে ধর্মঘটের কোনো পত্র আমারা পাইনি। ওপারের এলপি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী ও ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলনে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও আমাদের বন্দরে লোড আনলোড প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে।

আরএআর