সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে শীত জেঁকে বসেছে। কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাস্তায় মানুষের চলাচল একবারেই সীমিত। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথে-ঘাটে। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটেখাওয়া মানুষ। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।

বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্ব‌নিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশ‌মিক ৩ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস রেকর্ড করা হ‌য়ে‌ছে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় জেলায় বাতা‌সে আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ ও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার ছিল।

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার কাউগাঁ গ্রামের আব্দুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই দিন ধরি ঠান্ডা একটু কমছিল। এই দুই দিন কাজে গেছি, আজ কাজে যেতে পারিনি। ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশার কারণে বাসায় বসে আছি। ঠান্ডায় হাত-পা কোঁকড়া নাগি যাছে।

কৃষক রবিউল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশার জন্য কিছু দেখা যাছে না। তাই মাঠ কাজে যেতে পারছি না। দুপুরের দিকে একটু বেলা দেখা গেলেও মেঘের কারণে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না।

নান্দেড়াই গ্রামের কৃষক মোক্তারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ঠান্ডার জন্যি জমিতে ইরি-বোরো চারা লাগানোর মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। যারা কাজে যেতে চাচ্ছে তারা কাজের মূল্য বেশি চাচ্ছে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশ‌মিক ৩ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস। আর দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেতুলিয়ায় ৯.৫ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস। এছাড়া কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সৈয়দপুরে ৯.৮, রংপুরে ১১.৫, ডিমলায় ১১.০, নওগাঁয় ১০.৪, রাজশাহীতে ৯.৯, চুয়াডাঙ্গায় ১০.৭ এবং শ্রীমঙ্গলে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইমরান আলী সোহাগ/এসপি