নোয়াখালীর প্রবেশপথে চৌমুহনী এলাকায় সড়কের ওপর আবর্জনার স্তূপ দেখে মনে হবে এটা মহাসড়ক নয়, ময়লার ভাগাড়। লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর মহাসড়কে এ রকম চিত্র দেখে বিরক্ত স্থানীয় ও পখচারীরা। দুর্গন্ধে চলাচলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নাক চেপে ধরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের তফাদার বাজার নামক স্থানে চৌমুহনী পৌরসভার সব আবর্জনা সড়কের ওপর স্তূপ করে রাখা আছে। এতে রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে উন্মুক্ত স্থানে ময়লা ফেলে রাখায় দুর্গন্ধ ও রোগব্যাধির আশঙ্কায় এলাকাবাসী ও পথচারীরা।

অন্যদিকে সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও মিলছে না কোনো প্রতিকার।

স্থানীয়রা জানান, স্থানটি লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর মহাসড়ক হওয়ায় দিন-রাত মানুষ ও যানবাহন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বাইরের জেলা থেকে এ সড়ক দিয়েই লক্ষ্মীপুরে যেতে প্রবেশ করতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আরাফাত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, চৌমুহনী পৌরসভা এলাকাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় মহাসড়কের পাশেই আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে অনেক ভোগান্তি হচ্ছে।

আরেক বাসিন্দা তাজুল ইসলাম বলেন, তফাদার বাজারের পাশে কয়েকটি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে অনেক রোগী চিকিৎসার জন্য আসেন। পাশেই হাসপাতালের আবর্জনা ফেলা হয়। বছরের পর বছর পুরো পৌরসভার ময়লা এখানে ফেলা হচ্ছে। এ কারণে সড়কের নাজেহাল অবস্থা। ১ লেনের সড়কের অর্ধেক পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার দখলে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া এলাকার মাটি, পানি ও বাতাস দূষিত হয়ে উঠেছে।

আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মাহফুজুর রহমান বাবুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকলে বায়ুবাহিত রোগ বেড়ে যায়। শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া হতে পারে। বিশেষ করে হাসপাতালের বর্জ্য পড়ে থাকার কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ে। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান না হল পৌরবাসী বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র খালেদ সাইফুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিগগির এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে স্থানীয়দের সচেতন করা হবে। এ ছাড়া একটি ডাম্পিং জোন তৈরির জন্য শিগগিরই পৌরসভায় একটি বাজেট আসবে বলেও জানান তিনি।

হাসিব আল আমিন/এনএ