ঠাকুরগাঁওয়ে মধ্যরাতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রুহিয়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে মেয়েটির পরিবার।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রী হাসপাতালের বেডে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বর্বরতার ঘটনা বর্ণনা করে জানায়, ঘটনার দিন প্রেমিক সুজনের ফোন পেয়ে সবার অগোচরে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। পরে তাকে মোটরসাইকেল যোগে একটি মুরগির খামারের ভেতরে নিয়ে প্রেমিক সুজন ও সুজনের বন্ধু আশরাফুল, বিপ্লব, আরিফসহ চার-পাঁচজন মিলে পাশবিক নির্যাতন চালায়।

এ সময় সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে, পরে জ্ঞান ফিরলে দেখে সে তার বাড়ির পাশের রাস্তায় পড়ে রয়েছে। পরে সেখান থেকে কোনো রকমে সে বাসায় পৌঁছায়। এ ঘটনার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় সে।

ছাত্রীর বাবা (সামাজিক কারণে নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা যাচ্ছে না) জানান, ঘটনার দিন রাত ১২টার দিকে পরিবারের সবাই রাতের খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত আনুমানিক তিনটার দিকে তিনি বাড়ির আঙিনায় মেয়ের কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন, তার মেয়ের গাল বেয়ে রক্ত ঝরছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচড়ের চিহ্ন।

পরে রাতেই ঢোলারহাট বাজারের পল্লিচিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি অবগত করেন। সকালে সদস্য ও মেয়েকে নিয়ে রুহিয়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে মেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ভুক্তভোগী মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এম এ সামাদ/এনএ