রাজশাহীর বাঘায় নাজমুল হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মিন্টু আলী (৩৫), মো. রানা (২১), মো. পানা (২৫), আরিফ হোসেন (২৫), শরিফ হোসেন (২২) ও নাটোরের লালপুর উপজেলার মনিহারপুর গ্রামের আরজেদ আলী ওরফে ভোলা (৪৭)।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।

এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন আরও ১২ আসামি। এছাড়া এই মামলায় প্রধান আসামি মো. সুমনসহ চারজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে তাদের  বিচার চলছে। 

মামলার বিবরণ দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, একই এলাকার নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করত আরজেদ আলীর ছেলে সুমন।  ২০১৯ সালের শেষের দিকে সুমন সেনাসদস্য হিসেবে নিয়োগ পেলে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। যে কোনো মূল্যে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার ঘোষণা দেয়। 

সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগেই ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি সুমন বন্ধুদের নিয়ে ওই ছাত্রীকে পথ আটকে ফের প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি স্বজনদের জানায়। 

পরে ছাত্রীর নানা আজিজুর রহমান সুমনের বাবা-মায়ের কাছে বিচার দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন ওই দিন বিকেলে পার্শ্ববর্তী বাঘা উপজেলার সুলতানপুর মোড়ে দলবল নিয়ে গিয়ে আজিজুরের ছেলে নাজমুল হোসেন ও নাতি তারিকুল ইসলাম তুষারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে নাজমুলকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ নিয়ে বাঘা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা আজিজুর।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর