শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পরকীয়ার জেরে রাজিয়া বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে পিয়াস বালা ও তার পরিবার। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত রাজিয়া ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরসেন্সাস ইউনিয়নের বালার বাজার এলাকার জাকির হোসেন মোল্লার স্ত্রী। তিনি ৩ সন্তানের জননী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজিয়া ঢাকায় থাকতেন। তার স্বামী ঢাকায় টেইলারিংয়ের কাজ করেন। তবে গত কয়েকবছর ধরে ছোট ছেলে শান্তকে নিয়ে গ্রামেই থাকেন রাজিয়া। দেশে আসার পর থেকে বাড়ির পাশের ফারুক বালার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই ফারুক বালার স্ত্রী পারভীন আক্তারের সঙ্গে ঝগড়া হতো। বৃহস্পতিবার রাতে একই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া বাধে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ফারুক বালা ও তার ছেলে পিয়াস বালা মিলে রাজিয়াকে মারধর করে। রাজিয়াকে বাঁচাতে ছেলে শান্ত এগিয়ে আসলে তাকে দা নিয়ে তাড়া করে। শান্ত দৌড়ে প্রতিবেশীদের ডেকে আনলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। 

প্রতিবেশীরা রাজিয়াকে উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।

রাজিয়া বেগমের স্বামী জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, ছোট বিষয় নিয়ে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া হতো। পরকীয়া বা অন্য কোনো বিষয়ে কিছুই জানায়নি তারা আমাকে। মিথ্যা অভিযোগে গত রাতে আমার স্ত্রীকে আমার ছেলের সামনেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ফারুক বালা ও তার পরিবার। আমি এর বিচার চাই।

ঘটনার পর থেকে ফারুক বালা ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। 

ঘটনার সত্যতার নিশ্চিত করে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। দোষীদের ধরার জন্য আমরা অভিযান চালাচ্ছি। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই