সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে দুর্ঘটনাকবলিত তেলবাহী ট্রেন

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে দুর্ঘটনাকবলিত তেলবাহী ট্রেনের পাঁচ বগি উদ্ধার হয়েছে। ২১ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে এসব বগি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি পাঁচ বগি উদ্ধারে কাজ চলছে। ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ৮০০ মিটার রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার খলিলুর রহমান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, রেলপথ সচল করতে প্রায় ২০০ জন উদ্ধারকর্মী কাজ করে যাচ্ছেন। এখনো উদ্ধার কার্যক্রম চলমান। ২১ ঘণ্টায়ও উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি।

বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও ও বিয়ানীবাজারের মাঝখানে গুতিগাঁও এলাকায় একটি তেলবাহী ট্রেনের ১০ বগি লাইনচ্যুত হয়। কয়েকটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ছড়িয়ে পড়ে ট্রেনে থাকা জ্বালানি।

আশপাশের অনেক পুকুর-জলাশয়ে জ্বালানি ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন গত রাত থেকেই হাঁড়ি-পাতিল, বালতি, ড্রামসহ বিভিন্ন পাত্র নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তেল সংগ্রহ করতে থাকেন। দুর্ঘটনার পর থেকে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। 

সিলেটের রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার পর ছোটখাটো উদ্ধারকাজ সারানো হয়। তবে উদ্ধারকাজ কখন শেষ হবে আর কখন রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে তা কেউ জানে না।

এদিকে তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলামকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

রেলওয়ে সিলেটের আরডিএম মো. সাদেক বলেন, আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু করে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারকাজ শেষ হলেই তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করবে। উদ্ধারকাজ শেষ হলে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে।

এএম