চিনি দিয়ে তৈরি হচ্ছিল খেজুর গুড়। অধিক মুনাফার আশায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার একটি কারখানায় এই গুড় তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার আড়ানী চকরপাড়া এলাকার খেজুর গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান চালায়।

সেখান থেকে জব্দ করা হয় প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের ৫০ মণ ভেজাল খেজুরের গুড়। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাতজনকে।

তারা হলেন- কারখানা মালিক রকিব আলী (৪২), তার সহযোগী সুমন আলী (৪২), অনিক আলী ওরফে পাইলট (৩০), মাসুদ রানা (৩০), বিপ্লব হোসেন ওরফে সাজু (২৫), মামুন আলী (২৭) ও মো. বাবু (২৫)। প্রত্যেকেই আড়ানী চকরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে নিজ কার্যালয়ে অভিযানের আদ্যপান্ত জানান জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন। এ সময় ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মুহাম্মদ রুহুল আমিনসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতাররা গত কয়েক মাস ধরে ওই কারখানায় চিনি, চুন, হাইড্রোজ, ফিটকিরি, ডালডা ও বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি করছিলেন।

এই গুড় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে আসছিলেন তারা। কেবল খেজুর গুড় নয়, তারা আখ মৌসুমেও ভেজাল আখের গুড় তৈরি করে বাজারজাত করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন, গুড় তৈরিতে তারা খেজুর কিংবা আখের রস ব্যবহার করেন না। ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করেন। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং জটিল রোগের সৃষ্টি করে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমন কাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই