কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিদ্দিক মন্ডল (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চাদগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চাদগ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  

সিদ্দিক মন্ডল ভেড়ামারা উপজেলার চাদগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চাদগ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মৃত ওমর আলী মন্ডলের ছেলে। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আহত বাদশা মন্ডল, ইউনুস, খালেক, কোব্বাত মন্ডল নিহতের আপন ভাই। আহত বাদশা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এবং অন্যরা ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়  সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে চাদগ্রাম মধ্যপাড়া মাঠে নিহতের ছোট ভাই বাদশা ঘাস কাটতে যায়। এ সময় মাঠে বাদশাকে একা পেয়ে চাদগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাফিজ তপনের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল রামদা, ছুরি, অস্ত্রসহ লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করে। এ ঘটনায় বড় ভাই সিদ্দিক মন্ডলসহ অন্যান্যরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায়। এ সময় তাদের মারধর করা হয়। গুলিতে নিহত হয় সিদ্দিক। 

নিহতের ভাগ্নি শরিফুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানের লোকজন গুলি করে আমার মামাকে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই। 

নিহতের স্বজন আফফান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিদ্দিক মন্ডলকে হত্যা করা হয়েছে। তারা জাসদের রাজনীতি করে এবং তপন চেয়ারম্যানের লোক। 

চাদগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা যুব জোটের সভাপতি ও ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি মো. আব্দুল হাফিজ তপন বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সেটি ওই গ্রামের পুরাতন ব্যাপার। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বেশ আগে থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে কোন্দল চলছিল। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে সিদ্দিক মন্ডল নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এখনো মামলা হয়নি।

রাজু আহমেদ/এসপি