কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক মন্ডলকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের ছোট ভাই ইউপি সদস্য এনামুল হক বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সস্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন এবং তার সহোদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপনকেসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত সিদ্দিক মন্ডল উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের তিন নম্বর চন্ডিপুর ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভেড়ামারা থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মজিবর রহমান জানান, আসামিদের নাম ঠিকানাসহ প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ এবং মুরুব্বিদের সঙ্গে আলাপ করে এজাহার দিতে দেরি হয়েছে। 

শনিবার বিকেল ৪টা দিকে ভেড়ামারা থানায় লিখিত এজাহার জমা দেয়ার সময় মামলার বাদী চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক বলেন, মামলা নিতে পুলিশের কোনো টালবাহানা ছিল না। আমরাই দরখাস্ত দিতে দেরি করেছি। মামলায় কাকে সাক্ষী করব সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত, আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা, নিহতের লাশ দাফনসহ আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে দেরি হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভেড়ামারা থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মজিবর রহমান জানান, যে কোনো ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি অভিযোগ দেবেন। পুলিশ সেটার ওপর ভিত্তি করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতের ছোট ভাই এনামুল বাদী হয়ে মামলা দিয়েছেন। এখন পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। 

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ ও বিচার দাবির সংহতি জানিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে হয়েছে। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বেধে দিলেও তারা থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর। 

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে সিদ্দিক মন্ডল ও তার দুই ভাই পার্শ্ববর্তী চরপাড়া মাঠে মাছ ধরতে যায়। সেখানে পূর্ব থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে   বিবাদ চলছিল। এ সময় প্রতিপক্ষ স্থানীয় জাসদ সমর্থিত মালিথা গ্রুপের লোকজন তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সিদ্দিক মন্ডলকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজু আহমেদ/এমএএস