নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। নিয়ন্ত্রণহীন দামে জীবন ধারণ কঠিন হয়ে পড়ছে। বাজারে কিছুদিন আগে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। তবে কমেছে আদার দাম। ২০-২৫ টাকা কমে আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। 

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মধুবাগ ও রামপুরা বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। একটু শুকনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। তবে রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা কেজিতে।

জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের মাহিম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পেঁয়াজের দাম গেল সপ্তাহে হঠাৎ বেড়েছে। গেল সপ্তাহ থেকে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কারওয়ান বাজার থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫-৪৮ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। আমরা কেজিপ্রতি ৩-৫ টাকা লাভে বিক্রি করছি। 

অন্যদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৬৮ টাকায়। পাঁচ লিটারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৯৫-৮২০ টাকায়। ৬ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে নির্ধারিত নতুন দরে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। বৈঠকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের প্রতি লিটারের সর্বোচ্চ মূল্য ১৬৮ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৭৯৫ টাকা, খোলা সয়াবিনের লিটার ১৪৩ টাকা এবং সুপার পাম তেলের দাম ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এদিকে শীতের শেষ সময়ে এসে দু-একটি ছাড়া সবজির বাজার দর প্রায় একই রকম রয়েছে।

কাঁচা বাজারে কাঁচামরিচ ৬০-৬৫ টাকা, গোল আলু ২৩-২৫ টাকা, লাউ-৮০-১০০, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০-৫০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, শসা ৩৫ টাকা, গাজর ৩৫-৪৫ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শালগম ৪০-৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি প্রতি পিস আগের মতোই ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হলেও ফুলকপি ও ব্রুকলি প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরএম/এসএসএইচ