শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাগু‌লোর অধীনে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত ৩৩টি প্রকল্পে ৪ হাজার ৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া আ‌ছে। জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে মোট ২ হাজার ৫৬৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। যা মোট বরাদ্দের ৬৩ শতাংশ। এ হার জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন অগ্রগতির তুলনায় বেশি।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। 

শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এ পর্যালোচনায় সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রধান অতিথি এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন।  এছাড়াও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধান এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকরা সভায় যুক্ত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৩৩টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২টি কারিগরি সহায়তা এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ৪ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবিখাতে ১ হাজার ২০৩ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্য খাতে ২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন খাতে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে মোট ২ হাজার ৫৬৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সন্তোষজনক। তবে কাজের গতি আরও বাড়াতে হবে। সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে হবে। 

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা এখনও অর্জিত হয়নি। তিনি প্রকল্পের মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন। 

তিনি বলেন, বিসিক একটি বড় প্রতিষ্ঠান, তাই প্রতিষ্ঠানের সকলকে আরও কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। প্রতিটি ব্যক্তি ও সংস্থাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে একত্রে কাজ করতে হবে। 

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) অনুকূলে সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি মন্থর। কৃষকের দোরগোড়ায় সার সরবরাহ পৌঁছে দিতে দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। দেশের কোথাও সারের মূল্য বৃদ্ধি, ওজনে কম, সারের বস্তায় ওজনে কম দেওয়া ইত্যাদি অনিয়ম পাওয়া গেলে  সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তিনি বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বিষয়ে বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। এ প্রকল্প যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। বিসিকের জায়গা যাতে বেহাত না হয় এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। 

শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা প্রকল্প কাজের অগ্রগতি এবং নির্দেশনাসমূহ অনুসরণে সচেষ্ট থাকার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

এসআই/এসকেডি