করের আওতা বৃদ্ধি ও ইটিআইএনধারীদের রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করতে এনবিআরকে বিআরটিএ, ভূমি রেকর্ড অফিস এবং সিটি করপোরেশনের ডাটাবেসের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রতি জোর দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)।

বুধবার (২ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটি সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন এমন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, করদাতার রিটার্নে সমস্ত সম্পদ প্রতিফলিত হয় তা নিশ্চিত করতে, ইটিআইএন অবশ্যই বিআরটিএ, ভূমি রেকর্ড অফিস এবং সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে। এ ধরনের অটোমেশন সম্ভাব্য ট্যাক্স দাখিলকারীদের ট্যাক্স জালের আওতায় আনা নিশ্চিত করবে। তাদের কোনো ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে উৎসাহিত করবে। এছাড়া রিটার্ন ফাইলিং, ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট, আপিল এবং ট্রাইব্যুনাল প্রক্রিয়াসহ সমস্ত কর প্রক্রিয়ায় ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন।

শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমাদের প্রস্তাবনার মূল উদ্দেশ্যই হলো কীভাবে সরকারে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা যায়। এর পাশাপাশি কর ব্যবস্থাপনা, কর ফাঁকি, করের আওতা বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান আইনের অসামঞ্জস্যতা কীভাবে দূর করা যায়, সে বিষয়ে এনবিআরকে সহায়তা করা।

জাতীয় বাজেট প্রস্তাবনাসমূহ চারটি অংশে বিভক্ত করার কথা উল্লেখ করে আইসিএবি নেতা বলেন, আমাদের সংগঠনের প্রস্তাবনা গুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে-রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও আয়কর অধ্যাদেশ সংক্রান্ত, আইনের বৈপরিত্য ও ফাঁক হ্রাসকরণ সংক্রান্ত, আইনের প্রযোগে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত এবং বিনিযোগ কার্যক্রমকে অধিকতর উৎসাহ দেওয়া ও দেশ থেকে মূলধন পাচার রোধ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা। পাশাপাশি মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, কাস্টমস আইন এবং তদসংক্রান্ত বিধিমালা নিয়েও আইসিএবির সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা আছে।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, ২০২৬ সালের পোস্ট এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কাস্টমস ডিউটির উপর নির্ভরতা কমাতে হবে যা বর্তমানে মোট রাজস্বের ২৯ শতাংশ। আমাদের পণ্য এবং পরিসেবাগুলোকে দক্ষ করে এবং ব্যবসা করার খরচ কমিয়ে প্রতিযোগিতা মূলক করা।

বিবিএসের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রতিটি সেক্টর এবং তাদের সংশ্লিষ্ট শিল্পকে শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য এসআইসি কোড সংগ্রহ করা, এনবিআরকে আরও গবেষণা ও অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া, যৌক্তিক উৎসে করের হার নির্ধারণ করা এবং বর্তমান আইনে ভ্যাট কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্কিল উন্নয়ন বিষয়ক ধারা সংযোজন করার প্রস্তাব করেছে আইসিএবি। 

আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন এনবিআরের কাস্টমস সদস্য (শুল্ক নীতি) মাসুদ সাদিক, সদস্য (ভ্যাট নীতি) জাকিয়া সুলতানা ও সদস্য (আয়কর নীতি) সামস উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

আরএম/আইএসএইচ