দেশের প্রাণি ও প্রাণিজ পণ্যের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সহজ ও সম্প্রসারণে সহযোগিতা কর‌বে মার্কিন যুত্তরাষ্ট্র। এজন্য দেশটির কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের (বিটিএফ) সাথে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা এবং ল্যান্ড ও’লেকস ভেঞ্চার৩৭ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং বিটিএফ প্রকল্প পরিচালক মাইকেল জে পার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন। এ সময় ইউএসডিএর ডেপুটি চিফ অব পার্টি ফুয়াদ মো. খালিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তির উদ্দেশ্য: বাংলাদেশের প্রাণি ও প্রাণিজ পণ্যের আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ করা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাণি ও প্রাণিজ পণ্যের রপ্তানিকারক হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নয়ন ঘটানো। চুক্তি অনুযায়ী, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উৎপাদন থেকে শুরু করে রপ্তানি পর্যন্ত সার্বিক প্রক্রিয়ায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়ানো এবং প্রাণিজ পণ্য আমদানির ঝুঁকি হ্রাস। এছাড়া রপ্তানির ক্ষেত্রে বহুমুখীকরণ ও পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং আমদানি-রপ্তানির সময় কমানো।

অনুষ্ঠানে মাইকেল জে পার তার বক্তব্যে আশা প্রকাশ করেন, এই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাণি ও প্রাণিজ পণ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আরও সহজ হবে। দুই পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাংলাদেশের প্রাণিজখাতকে শক্তিশালী করবে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা প্রাণিজ পণ্যের বাণিজ্যে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য ইউএসডিএকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, চুক্তির আওতাধীন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশের প্রাণি ও প্রাণিজ পণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পটি ইউএসডিএ’র অর্থায়নে পরিচালিত,চাহিদাভিত্তিক প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রকল্প। প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কৃষি, মৎস্য ও মৎস্যজাত এবং প্রাণি ও প্রাণিজ পণ্যের বাণিজ্য সহজ ও সম্প্রসারণে কাজ করছে।

এসআই/এনএফ