ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের ৫৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ওই ভ্যাট আদায়ে মামলা দায়ের করেছে সংস্থাটি।

সোমবার (১৪ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের বিরুদ্ধে তদন্ত করে গত ২ মাসে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার গোপন বিক্রির তথ্য উদঘাটন করেছে। তদন্ত শেষে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ৫৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে উদঘাটিত ভ্যাট আদায়ে ঢাকা উত্তরে কমিশনারেটে পাঠানো হয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জে অবস্থিত ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক অথেলো চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল গত ২৮ ডিসেম্বর অভিযান পরিচালনা করে। এতে ভ্যাট গোয়েন্দারা ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পায়। এরপর প্রতিষ্ঠানের মূসক সংক্রান্ত, বাণিজ্যিক দলিল ও ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ বিক্রয় চালান জব্দ করা হয়। 

যা যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, অভিজাত হোটেলটি ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে মোট ৫ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার ৭৯২ টাকার বিক্রয় তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এ সময় প্রতিষ্ঠান দাখিলপত্রে ৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ১৭৮ টাকা বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করেছে। দাখিলপত্রে ৪৭ লাখ ৪৪ হাজার ৬১৪ টাকার বিক্রয় গোপন করা হয়েছে। যেখানে ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ৬৯২ টাকা। ২ শতাংশ হারে সুদ যোগ হয়েছে ৫ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ টাকা।

একইভাবে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট ফাঁকি পাওয়া যায় ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৯৭৮ টাকা। যেখানে সুদ প্রযোজ্য ১৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬৭ টাকা। 

সব মিলিয়ে অভিজাত হোটেলটিতে ২ মাসে ভ্যাট ও সুদবাবদ মোট ৫৭ লাখ ৯১ হাজার ৮৫৬ টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

আরএম/জেডএস