আয়কর বিষয়ক কর্মশালা

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে উৎসে কর কমানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর নীতি বিভাগের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন।

তিনি বলেন, উৎসে কর কমানোর চিন্তা চলছে। আগামী বাজেটে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে। এছাড়া অনলাইনে কর দেওয়ার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে যাচ্ছে আয়কর বিভাগ। 

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরে পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ কার্যালয়ে আয়কর বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

আগামী বছর কিছুক্ষেত্রে অনলাইনে করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার আলোচনা হচ্ছে বলেও জানান আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, আয়কর আইন, রিটার্ন ও আয়কর দেওয়ার ব্যবস্থা সহজ হলে করের আওতা বাড়বে। করদাতাদের মধ্যে প্রাথমিক করভীতি কমবে। করদাতা নিজেই রিটার্ন পূরণ ও জমা দিতে পারবেন।

এ লক্ষ্যে এনবিআরের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে আলমগীর হোসেন বলেন, আগামী জুনের মধ্যে নতুন আয়কর আইনের একটি ভিত্তি দাঁড়িয়ে যাবে। আইনটি বাংলায় সহজভাবে তৈরি হচ্ছে। এছাড়া কর ফাঁকি রোধে বিআরটিএসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে আয়কর বিভাগের যোগসূত্র স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে। 

আয়কর রিটার্নকে অনলাইনভিত্তিক করতে গত কয়েক বছর ধরে এনবিআর কাজ করছে জানিয়ে এ সময় গত এক দশকে আয়কর আদায়, করদাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এনবিআরের অগ্রগতি তুলে ধরেন তিনি।

‘রিটার্ন ফরম পূরণ ও আয়কর’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে যৌথভাবে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গোল্ডেন বাংলাদেশ। ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভি এতে সভাপতিত্ব করেন।

কর্মশালায় আয়করের খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা করেন গোন্ডেন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ফোরামের সহসভাপতি এম শফিকুল আলমসহ সিনিয়র সদস্যরা বক্তব্য দেন।

বক্তারা মাঠ পর্যায়ে করভীতির বিষয়টি তুলে ধরে তা দূর করতে এনবিআরকে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন। পাশাপাশি কর আদায়সহ পুরো ব্যবস্থাপনা সহজ করার ওপর গুরুত্ব দেন।  

অনুষ্ঠানে গোল্ডেন বাংলাদেশ প্রকাশিত নতুন পাঁচটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।  

এমআই/এইচকে