ভরা মৌসুম হলেও ফলের বাজারে স্বস্তি নেই। রোজাকে কেন্দ্র করে বাজারে অনেক ফলের দাম আকাশচুম্বী। তরমুজ, আনারস, আপেল, মাল্টার দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও বেল, বাঙ্গি ও পেঁপের দাম চড়া। সোমবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর বাজার ও মিরপুর এলাকার বিভিন্ন ভাসমান ফলের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে আকারভেদে এক পিস বেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে প্রতি পিস বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায়। এর বাইরেও বাংলালিংক তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। আর অন্যান্য জাতের বিভিন্ন তরমুজ ৪৫ টাকা থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আনারস বিভিন্ন সাইজভেদে ৩০ টাকা পিস থেকে ৮০ টাকায় প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি মাল্টা ১৭০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে আঙুরের কেজি ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, আপেলের দাম কেজি প্রতি ২২০-২৫০ টাকা। দেশি চম্পা কলার ডজন ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, সাগর কলা ৯০ টাকা থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর-১ নম্বর বাজারে শওকত নামের এক ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, কেজি দরে বিক্রি হওয়াতে একটা মাঝারি সাইজের তরমুজের দাম দাঁড়াচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। বড়গুলোর দাম আরও বেশি। বর্তমান বাজারে একটা ছোট তরমুজ কিনতে গেলেও ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। অথচ আগে এই ফল পিস হিসেবে বিক্রি হতো। আমি ১২০ টাকা কেজিতে এক পিস পেঁপে কিনলাম। এই পেঁপে রমজানের আগে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এখন রমজান উপলক্ষে দাম বেশি নিচ্ছে।

রূপনগর বাজারে রাশেদ নামের এক ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি প্রতিবার তরমুজসহ বেল ও অন্যান্য ফল পিস হিসেবে কিনতাম। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে অনেক ফল কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। আজ বেল কিনতে এসে আশ্চার্য হয়েছি। একটি বেলের দাম ২০০ টাকা। আমি মাঝারি সাইজের দুটি ৩০০ টাকায় নিয়েছি।

রূপনগর বাজারের ভ্রাম্যমাণ ফল ব্যবসায়ী ছায়েদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা যে দামে কিনি তার থেকে কিছু লাভে বিক্রি করি। এই বেল ২০০ টাকায় বিক্রি করলে আমার কিছু লাভ হবে। তবে আমি বেশি দামে কিনে এনেছি। আড়তে বড় সাইজের বেলের দাম বেশি।

তিনি বলেন, আমি সফেদা ১০০ টাকা, বেল ১০০ থেকে ২০০ টাকা পিস, পেঁপে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। আমি সীমিত লাভে ফল  বিক্রি করি।

এসআর/এসএসএইচ