ওএমএস কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে জরুরি বিবেচনায় অতিরিক্ত দেড় লাখ টন চাল ও গম বরাদ্দ চেয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বরাদ্দ চেয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার (১৮ এপ্রিল) অর্থ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

উপসচিব হুরে জান্নাত স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ওএমএস খাতে চালের বরাদ্দ রয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার টন। গমের বরাদ্দ রয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার টন। ওএমএস কর্মসূচিতে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৪ লাখ ২৫ হাজার টন চাল এবং ৩ লাখ ৭৮ হাজার টন গম বিক্রি করা হয়েছে। 

এতে বলা হয়, চালের বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং নিম্নআয়ের মানুষকে সহায়তা দেওয়াসহ খাদ্যশস্যের মূল্য ভোক্তা সাধারণের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের মোট ১ হাজার ৯৭৬টি ওএমএস কেন্দ্রে (দোকান/ট্রাকসেল) কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য দৈনিক প্রয়োজন ২ হাজার ৫৬৩ টন চাল এবং ১ হাজার ২৪০ টন গম। 

চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমান অর্থবছরে সরকারি ছুটি ছাড়া এপ্রিল, মে ও জুন মাসে মোট ৫৯ দিনে ওএমএস কার্যক্রমে প্রয়োজন হবে ১ লাখ ৫১ হাজার টন চাল এবং ৭৩ হাজার টন গম। এই পরিমাণ খাদ্যশস্য বিতরণ করা হলে কোনো চাল ও গম অবশিষ্ট থাকবে না। এমতাবস্থায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ওএমএস কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে এবং জরুরি বিবেচনায় ন্যূনতম আরও অতিরিক্ত ১ লাখ টন চাল এবং ৫০ হাজার টন গম বরাদ্দ দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এসএইচআর/জেডএস