শিল্প ও শ্রমিক একে অপরের পরিপূরক। একটি ভালো থাকলে অপরটি ভালো থাকবে। তাই শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শ্রমিকদের যোগ্য করে তুলতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। 
 
মহান মে দিবস উপলক্ষে শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এসব কথা বলেছেন। পাশাপাশি তিনি মে দিবসের ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে শ্রমিক ও উদ্যোক্তাদের জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এ দিবসে অভিনন্দন জানাই, আমাদের পোশাক শিল্পের প্রাণ, শ্রমিকদের, যারা সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ যে বিশ্ব বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এর পেছনে এ শিল্পের প্রত্যেক শ্রমিকদের অবদান রয়েছে। 

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়া এবং এ সময়ের মধ্যে বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে একটি প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চ্যালেঞ্জ আমরা নিয়েছি। এ চ্যালেঞ্জে জয়লাভ করার জন্য পোশাক কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করার ওপর আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। 

ফারুক হাসান বলেন, শিল্পে অবকাঠামো উন্নয়ন, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব কাজ হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সদস্য কারখানাগুলোকে নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন সদস্য কারখানা অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে আইনের মৌলিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টিও কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে। সাব-কন্ট্রাক্টিং কারখানাগুলোর জন্যও গাইডলাইনস তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের জন্য নিজস্ব সক্ষমতা তৈরির প্রয়াস হিসেবে আরএসসি গঠন করা হয়েছে। দেশের শ্রম আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। শ্রমিক ভাইবোনদের জন্য উপযুক্ত মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যগত কল্যাণে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনা, এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম ও স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প গ্রহণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে 

ফারুক হাসান বলেন, বিগত এক দশকে উদ্যোক্তা, শ্রমিক, সরকার, ব্র্যান্ড/ক্রেতা, উন্নয়ন সহযোগী ও সংশ্লিষ্ট অংশীদার- সবার সম্মিলিত প্রয়াসে তৈরি পোশাক খাতে নিরাপদ কর্মক্ষেত্র, টেকসই উন্নয়ন ও শ্রমিকদের কল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন হয়েছে, আগামী দিনগুলোতে তা অব্যাহত রাখতে পোশাক শিল্প দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। 
 
এসআই/আরএইচ