চলচ্চিত্রের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সিনেমা হলগুলোর জন্য রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল। এ স্কিম থেকে যেসব ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা নিতে চায়, সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে। 

রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে প্রকাশিত সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ৩১ মার্চের মধ্যে আবেদন করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

সিনেমা হল মালিকদের ঋণ দিতে এক হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। হল সংস্কার, আধুনিকায়ন, যন্ত্রাংশ কেনা ও নতুন সিনেমা হল নির্মাণের জন্য তফসিলি ব্যাংকের অর্থায়নের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দেবে। বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সে যেসব সিনেমা হল আছে, সেগুলো নতুনভাবে নির্মাণ করার ক্ষেত্রেও এ স্কিম প্রযোজ্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে এ টাকা। প্রথম ধাপে ৫০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। টাকা ব্যয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর দ্বিতীয় ধাপে আরও ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। প্রত্যেক গ্রাহককে প্রতিটি সিনেমা হলের জন্য ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধার নিশ্চয়তা অর্থায়নকারী ব্যাংক নির্ধারণ করবে।  

এ স্কিমের আওতায় অংশ নেওয়া তফসিলি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্ধারিত দেড় শতাংশ হারে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা নিতে পারবে। গ্রাহক পর্যায়ে মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ শতাংশ সুদে এবং মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে তফসিলি ব্যাংক সিনেমা হলগুলোকে অর্থায়ন করবে। এ ঋণ বা বিনিয়োগ এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ তিন মাসের কিস্তিতে সর্বোচ্চ ৮ বছর মেয়াদে গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাব থেকে এ অর্থ আদায় বা সমন্বয় করা হবে।

দেশের সব তফসিলি ব্যাংক এ পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দিতে পারবে গ্রাহককে। সিনেমা হল সংস্কার, আধুনিকায়ন ও নতুন হল নির্মাণে প্রথমে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার সু‌যোগ থাকলেও পরে এ সীমা বা‌ড়ি‌য়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

এসআই/আরএইচ