বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, বিশ্ববাজারে দেশের পোশাক পণ্য রপ্তানি থেকে অর্জিত হচ্ছে ৫০ বিলিয়নের কাছাকাছি। আশা করছি একদিন ১০০ বিলিয়ন ডলার হবে।

মঙ্গলবার (১০ মে) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ৩য় সাসটেইনেবল বাংলাদেশ অ্যাপারেল ফোরামের সমাপনী অধিবেশনে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, করোনার পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের সংকটের মধ্যে দেশের পোশাক খাতের যেভাবে গ্রোথ বাড়ছে। এভাবে গ্রোথ হতে থাকলে খুব বেশি দিন লাগবে না। বরং দ্রুতই রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন হবে।

টিপু মুনশী বলেন, রানাপ্লাজার ঘটনা বাংলাদেশের পোশাক খাতের দুর্ঘটনা। এ ঘটনা দেশের জন্য দুঃখজনক হলেও বিপদ কখনো কখনো সম্পদে পরিণত হয়। এখন তাই হচ্ছে। তার কারণ রানাপ্লাজার ঘটনার পর দেশের পোশাক কারখানায় ব্যাপক সংস্কার হয়েছে।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের জন্য সেফটি কমিটির বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শ্রমিকদের উন্নয়নে বিভিন্ন আইন কানুন করা হয়েছে। বিশ্বের বড় বড় গ্রিন ফ্যাক্টরি এখন বাংলাদেশের। এসব কারণে পোশাক খাতে নতুন করে কর্মসংস্থান বাড়ছে। আর তাতে গ্রোথ বাড়ছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান এবং বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ।

এছাড়া সম্মেলনে রিসাইক্লিং এবং রিনিউবল এনার্জি কোম্পানিগুলোর সিনিয়র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সাসটেইনেবল ও গ্রিন প্রযুক্তিগুলো এবং পণ্য ও সমাধানগুলো প্রদর্শন করেন। সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম থেকেও শিল্পের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সবুজ অর্থায়নের সুযোগগুলো তুলে ধরা হয়।

দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সংগঠনটির সহযোগিতায় বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) কর্তৃক আয়োজিত ৩য় সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরাম সম্মেলনে ৫০ জনেরও অধিক বক্তা এবং প্রায় ২০টি দেশ থেকে সবুজ প্রবৃদ্ধি নিয়ে কাজ করা ২০টি প্রদর্শনকারী কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে।

এমআই/এসএসএইচ