আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির প্রায় ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি।

‘কোভিডের অভিঘাত কাটিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট উপস্থাপন করবেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে কর ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। যেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।

যদিও বরাবরের মতো বিশাল লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংশয় রয়েছে বাজেট সংশ্লিষ্টদের। কেননা চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এনবিআর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে আছে ৩২ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা। ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক মনে হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগে পিছিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে আগামী অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি এনবিআরের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে যাবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে আসন্ন বাজেটে এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হচ্ছে ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং কর ব্যতিত আয় ধরা হচ্ছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এতে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ এক লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা এবং আমদানি শুল্ক থেকে ৯৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

আরএম/আরএইচ