আমদানি করা লিফটের ওপর আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বাড়বে বিদেশি লিফটের দাম।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেন । অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার এটি চতুর্থ বাজেট। এবার প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে লিফটের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তারা লিফট উৎপাদন শিল্পে অধিকহারে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। কিন্তু সম্পূর্ণ অবস্থায় আমদানি করা লিফটের অ্যান্ড ক্সিপ হোয়েস্টের ওপর ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। দেশীয় শিল্পের প্রসারের স্বার্থে এবং আমদানি নিরুৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে পণ্যটি (লিফট) মূলধনী যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে প্রত্যাহার করে আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপসহ সর্বমোট করভার ৩১ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করছি।

২০২২-২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে রাখার কথা বলা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি। নতুন বাজেটে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ ঘাটতি ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বেশি। কর বাবদ ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে এনবিআরকে আগের বছরের তুলনায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দিচ্ছে সরকার। এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। আর কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।

এসএইচআর/আরএইচ