২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) অনুপাতে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের তুলনায় কমছে। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট জিডিপির আকার ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। শিক্ষাখাতে মোট বরাদ্দ জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

এর আগে বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন তিনি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার এটি চতুর্থ বাজেট। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।

দেশের শিক্ষা পদ্ধতির দুর্বলতা ও করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতি বিবেচনায় শিক্ষাবিদরা অনেক দিন ধরেই জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ এবং জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ইউনেস্কোর পরামর্শও ছিল, একটি দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত। কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপির তুলনায় শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ২ দশমিক ০৮ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে যা ছিল ২ দশমিক ০৯ শতাংশ। এবার তা আরও কমছে।

তবে প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দের পরিমাণ চলতি অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে। আগামী অর্থবছরে মোট বাজেটের ১২ দশমিক ০১ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে তা ছিল ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ।
 
চলতি অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৭১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জন্য ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এএজে/এনএফ