২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কম্পিউটারের ওপর নতুনভাবে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ও বিসিএস কম্পিউটার সিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটি। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাজধানীর আইডিবিতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। বিসিএস কম্পিউটার সিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটি মতবিনিময়সভার আয়োজন করে। 

সংগঠন দুটির নেতারা বলেন, কম্পিউটার-ল্যাপটপ লাক্সারি পণ্য নয়, এগুলো এখন আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য পণ্য। এর ওপর নতুন করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপিত হলে তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই ল্যাপটপের দাম বেড়ে গেছে। নতুন করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপিত হলে ৫০ হাজার টাকার ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ৮-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে যাবে, যা সাধারণ মানুষের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।

সভায় বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, দেশের বেশিরভাগ কম্পিউটার ব্যবহারকারী মধ্যবিত্ত। একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে ল্যাপটপ-কম্পিউটার ফ্যাক্টর। এখন যদি নতুন করে কম্পিউটারের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যাবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা করা স্মার্ট বাংলাদেশের ব্যত্যয় ঘটবে।  

তিনি বলেন, বেশি দামে আমদানি করলে, আমি বেশি দামে বিক্রি করব। ক্ষতিটা হবে সাধারণ মানুষের। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা তৈরি করেছি, এখন স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই। 

ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা গুণগত ও মানসম্মত পণ্য মানুষের কাছে তুলে দিতে চাই। কোয়ালিটি একটি ফ্যাক্টর। দেশে এর আগেও কমপিউটার অ্যাসেম্বলিংয়ের চেষ্টা করা হয়েছিল। ওয়ারেন্টি এবং কোয়ালিটির কারণে তা সম্ভব হয়নি। আমাদের দেশে উদ্যোক্তাদের মানসম্মত কম্পিউটারের কোনো বিকল্প নেই। তাদের হাতে ৫০ হাজার টাকার কম্পিউটার দিলে তারা বিব্রত হবেন। 

বিসিএস কম্পিউটার সিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি মো. এ এল মজহার ইমাম চৌধুরী পিনু বলেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে ইতোমধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়েছে। এখন যদি নতুন করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপিত হয় তাহলে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ল্যাপটপের দাম বেড়ে যাবে। ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপিত হলে ৫০ হাজার টাকার একটি ল্যাপটপে ৭-৮ হাজার টাকা বেড়ে যাবে, এতে ক্রেতার বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে। তাই সম্পূর্ণভাবে এ ভ্যাট প্রত্যাহার চাই।

মতবিনিময়সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সহ-সভাপতি রাশেদ আলী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আনোয়ার, বিসিএস কম্পিউটার সিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা মো. আহমেদ হাসান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, স্টারটেক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদ আলী ভূঁইয়া, উপদেষ্টা মো. মাহমুদুর রহমান খান প্রমুখ।

আরএইচ